Wednesday, 18 December 2019

NeoBux: Make Money Online and Advertise. Paid Ads


Get paid fast to take surveys and complete simple tasks. View advertisements and play free online games to earn easy cash.

Please signup my following links: https://www.neobux.com/?r=toaeldata

UNIQUE INCOME OPPORTUNITY


A Complete GPT Site

 Many other ways to earn money

OUR MEMBERS 

Our innovative features for members give them flexibility and more earning potencial.
  • Earn up to $0.04 per click
  • Earn up to $0.02 per referral click
  • Advanced Referral Activity Filter
  • Multiple payment options

             Register




ADVERTISERS BENEFITS 

If you are looking to promote your product or services, this is the right place for you.
  • Advertise your website, new types of ads
  • Add your rotation plan instantly
  • Choise of multiple advertisement packs
  • Anti-cheat protection

           Advertise

Thursday, 12 December 2019

How cure Blood block (রক্ত নালীর ব্লক রোধ করার উপায়)

রক্তনালী ব্লক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জীবন পরিচালনায় কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এই রোগকে সহজেই প্রতিরোধ করা যেতে। সেজন্য নিচের সাতটি খাবার খেতে পারেন। ১. আপেল এই ফলটিতে রয়েছে পেকটিন নামক কার্যকরী উপাদান যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। গবেষণা বলছে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমে যায়। ২. দারুচিনি এই দারুচিনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও গবেষণায় লক্ষ্যকরা গিয়েছে প্রতিদিন মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খেলে দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ৩. কমলার রস গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২ কাপ বিশুদ্ধ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখে। কমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। ৪. ব্রুকলি এই ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এবং ক্যালসিয়ামকে রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। ব্রকলির ফাইবার উপাদান দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। ৫. তিসীবীজ যেহেতু তিসীবীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সহায়তা করে এবং সেই সঙ্গে রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করে। ৬. গ্রিন টি সবুজ চা বা গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন যা দেহে কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিনের চা কফির বদলে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়। ৭. তৈলাক্ত মাছ সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার লিভার ও কিডনীর সমস্যা হয়েছে (How to understood problem of your Liver & Kidney)

অনেকেই লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকেন। কিন্তু রোগের লক্ষণ বুঝতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে যেতে অনেক সময় দেরি করে ফেলেন। এতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের হাত-পায়ের নখ মাঝে মধ্যেই কঠিন রোগের ইঙ্গিত দিতে থাকে। তবে অনেক সময়ই সেই উপসর্গগুলোকে আমরা এড়িয়ে চলি। চিকিৎসকেরা বলছেন, হঠাৎ যদি দেখেন আপনার হাতের, পায়ের নখের রং হলুদ হয়ে পড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার লিভার ও কিডনির সমস্যা হয়েছে। এরকম অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার। নখের ওপর সাদা সাদা ছোপ থাকলে পেটের সমস্যা হতে পারে আপনার। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস, অম্বলে ভুগলে নখে এই ধরণের ছাপ হতে পারে। নখের রং কালচে বা নীলচে হয়ে পড়লে সাধারণত, ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ। এই সমস্যা হলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়লে সাধারণ আর্থারাইটিস হওয়ার লক্ষণ। অনেক সময় ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্যও এরকম ঘটতে পারে। নখের চারপাশ থেকে চামড়া উঠলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে। কিংবা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণেও ঘটতে পারে এই সমস্যা।

Thyroid problem solution (থাইরডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে)

আমাদের স্বরযন্ত্রের দু’পাশে থাকা গ্রন্থির নাম থাইরয়েড। থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন করাই হল এর কাজ। থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যাবশ্যকীয় হরমোন। শরীরের জন্য এই হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা একটু বেশিই লক্ষ করা যায়। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক... ১) থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব জরুরি একটি উপাদান হল প্রোটিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার-দাবার রাখা জরুরি। পনির, চিজ, ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার-দাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করতে পারবে। ২) আয়োডিন যুক্ত খাবার-দাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী! আয়োডিন যুক্ত লবন ব্যবহার করে রান্না করা যেতে পারে। এ ছাড়া গাজর, কলা, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, স্ট্রবেরি, শাকপাতা আর মৌসুমি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। তাই পাতে রাখুন এই খাবারগুলি। ৩) থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গেই নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন। সাঁতার বা সাইকেল চালানো থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ৪) থাইরয়েড গ্রন্থির ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত জরুরি! অনেকেই আজকাল কাজের চাপে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমোতে যান। যদি দিনের বেলাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয়, সে ক্ষেত্রে কোনও ক্ষতি নেই। তবে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার!

ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির সবচেয়ে ভাল উপায় (Best Concept of Dengue Fever Cure)

পুরো পৃথিবীতে আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে এই রোগে আক্রান্ত্রের সংখ্যা। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত্র মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন। ফলে ডেঙ্গু আতঙ্ক এখন সবার মধ্যেই। তবে এই রোগকে মোকাবেলা করতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সবসময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া ঘর থেকে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল, অ্যারোসল বা অন্য যেকোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এরপরও যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাহলে উদ্বিগ্ন না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এসময় স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস বেশি বেশি পান করতে হবে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হতে খুবই কার্যকর হতে পারে পেঁপে পাতার রস। এতে আছে কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন, যা রক্তের প্লালিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। একাধিক গবেষণায়ও এর প্রমাণ মিলেছে। যেভাবে রস তৈরি করবেন পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, পরিষ্কার পাটা বা হামান্দিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। যেভাবে খাবেন পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন তিন বেলা তিন কাপ পরিমাণ পান করতে দিন। রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।

Urine Pressure Control (প্রসবের ঘন ঘন চাপ কিভাবে কমাবেন)

একটু পর পরই প্রস্রাবের চাপ। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বা বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময় টেনশন বাড়ে। মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বেশির ভাগ সময়ই কাজ করে— যদি প্রস্রাবের চাপ আসে! এমন পরিস্থিতিতে ছেলেরা সামলে নিতে পারলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা দুর্বল মূত্রস্থলীর (ব্লাডার) লক্ষণ হতে পারে। এমন বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেগুলির প্রভাবে মূত্রস্থলী (ব্লাডার) দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যেমন, মেনোপজ বা বয়সের কারণে, গর্ভধারনের পরও ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসতে পারে। এ ছাড়াও কিছু স্নায়বিক, মানসিক বা প্রদাহজনিত কারণে মূত্রস্থলী দুর্বল হতে পারে। তবে এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি এড়িয়ে চললে বা কম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক... ১) মূত্রনালির সংক্রমণ, মূত্রস্থলী (ব্লাডার) সমস্যা বা ওএবি থাকলে সোডা বা সোডা যুক্ত খাবার বা পানীয় খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই কার্বনেটেড বা সাইট্রাস সোডা বা সোডা যুক্ত খাবার বা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। ২) যদি আপনার মূত্রস্থলীতে (ব্লাডার) সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন মূত্রস্থলীর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। ৩) ফল খাওয়া শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে যদি আপনার মূত্রস্থলীতে (ব্লাডার) কোনও সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসিডিক ফল (যেমন, আঙুর, কমলালেবু, আপেল, টোম্যাটো, আনারস ইত্যাদি) মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই সব ফল না খাওয়া বা যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভাল। ৪) ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা কোনও রকম সমস্যা থাকে তাহলে কৃত্রিম সুইটেনার থেকে দূরে থাকাই ভাল। কারণ এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ৫) মূত্রনালি বা মূত্রস্থলীতে সংক্রমণ বা কোনও রকম সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত মশলাদার খাবারদাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ ঝাল বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবারদাবার মূত্রস্থলীতে অস্বস্তি তৈরি করে। ৬) অ্যালকোহলের প্রভাবে পেটের সঙ্গে সঙ্গে মূত্রস্থলীতেও অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে বা মূত্রস্থলীতে কোনও রকম সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁকরোল (Diabetes Control Cucumber)

কাঁকরোলের সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে আমাদের সকলের। সারা গায়ে কাঁটা যুক্ত ছোট ছোট গোলাকার আকৃতির এই সবজিটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। আর যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য তো বটেই এবং যারা কাঁকরোল খেতে পছন্দ করেন না তারাও জেনে নিন কী গুণ আছে এই সবজিতে। ওজন কমাতে- ১০০ গ্রাম কাঁকরোলে মাত্র ১৭ ক্যালরি থাকে। তাই ওজন কমাতে অবশ্যই কাঁকরোল খেতে পারেন। হজম শক্তিও বাড়ায় কাঁকরোল। এছাড়া এটি একটি লো ক্যালারির সবজি এবং এতে ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে এই সবজি। কাশি কমাতে- ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ছোট বাচ্চাদেরও কাশির সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাচ্চাদের অ্যালার্জি এবং অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে কাঁকরোল খাওয়ালে অনেক রোগের আক্রমনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় সহজেই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ- কাঁকরোলের রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণাগুণ। এটি অগ্নাশয়ের বিটাসেলকে সুরক্ষিত রাখে ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ইন্সুলিন নিঃসরণ ও সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কম ক্যালরির ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে এবং বহুমূত্র রোগীদের রোগ সারাতে একটি অন্যতম উপকারি সবজির নাম হল কাঁকরোল। সুগারের রোগীদের প্রতিদিনের ডায়েটে কাঁকরোলের বিভিন্ন পদ থাকা আবশ্যক বলছেন চিকিৎসকরা।

Broccoli benefits of Diabetes, Heart Attack and Cancer ( ব্রকলি ডায়াবেটিস, হার্ট এটাক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়)

হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ব্রকোলি’ নামের এক সবজি খেলেই মানবশরীরে এই তিন রোগের সম্ভাবনা কম আসে। তাদের মতে, এই সবজি একাই একশ। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে আগে থেকেই খুব কম ক্যালোরি ও অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ব্রকোলি খাওয়ার চল ছিল। বর্তমানে উপমহাদেশেও তা শুরু হয়েছে। চলুন একনজরে জেনে নেওয়া যাক, ব্রকোলির গুণাগুণ- ১. প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকায় দেহে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় থাকে। ২. প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-কে থাকায় হাড়ের জন্য ভালো। ৩) গ্লুকোরাফ্যানিন, গ্লুকোনাস্টারটিন ও গ্লুকোব্রাসিসিন থাকায় শরীরকে ডিটক্স করে ব্রকোলি। ৪. পরিপাক ভালো হতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ৫. ব্রকোলিতে দু’ধরনের ক্যারোটিনয়েড প্রচুর পরিমাণে থাকে। এক লুটেনিন, দুই জিয়াক্সাথিন। ফলে চোখের জন্য খুব ভালো। ছানি পড়তে দেয় না। তাহলে আর দেরি না করে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন খাদ্যতালিকায় ব্রকোলিকে রাখুন। সুস্থ থাকুন।

রক্তে কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন মেডিসিন ধনেপাতা (Blood Closterol & Insulin Medicine of coriander)

১. ধনেপাতা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ২. দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় ধনেপাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভেসজ উপাদান। ধনেপাতা দাঁতের ফাঁকে ব্যাক্টেরিয়াকে বাসা বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে সুস্থ থাকে দাঁত ও মাড়ি। ৩. লিভার বা যকৃতকে সুস্থ রাখতে ধনেপাতা অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ধনেপাতা খেতে পারলে লিভারের একাধিক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। ৪. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ধনেপাতা অত্যন্ত উপকারী। ধনেপাতা রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে আর রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৫. ধনেপাতার মধ্যে সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলো শরীরের পুরনো ও নাছোড় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ৬. ধনেপাতায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে। ৭. ধনেপাতার মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকায় তা শরীরে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন চর্মরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করার সহজ উপায় (How to Gastric Control)

১. খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ২. ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ম করতে হবে। ৩. খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেতে হবে। ৪. অতিরিক্ত তেল মসলা ছাড়া হালকা নাস্তা করতে হবে। ৫. খালিপেটে ইসপগুলের ভুসি পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

Wednesday, 11 December 2019

শীতে অ্যাজমা-অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে (How to Control Allergy and Asma)

শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এতে ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি যাদের অ্যাজমা ও আলার্জি রয়েছে, তাদেরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা অ্যালার্জি কিংবা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শীত মৌসুমে একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, অন্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে এসব রোগীদের বেশি ভুগতে হয়। দ্য আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি ও অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি (এসিএএআই) শীতে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ:- ফ্লুর টিকা নিন: অ্যাজমা থাকলে আপনার জন্য এ পরামর্শটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হচ্ছে, অ্যাজমা ও ফ্লু উভয়েই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। অ্যাজমা রোগীদের ফ্লু হলে তারা ঘনঘন তীব্র অ্যাজমা অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন, এমনকি জীবননাশক জটিলতাও তৈরি হতে পারে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন: এটা ঠিক যে শীতকালে বাইরের চেয়ে ঘরের অ্যালার্জেন দ্বারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ কারণে আপনার অথবা পরিবারের কোনও সদস্যের অ্যালার্জি থাকলে প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। ডাস্ট মাইটের (ধুলোর কীট) মতো অ্যালার্জেন দূর করতে নিয়মিত ম্যাট্রেস ও বিছানা পরিষ্কার করতে হবে। ঘরের বেসমেন্ট ও বাথরুমের স্যাঁতস্যাতে জায়গায় ছত্রাকের বিস্তার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পোষা প্রাণীর শরীর থেকে খসে পড়া আঁইশ, লালা ও মূত্রের একটি প্রোটিন অ্যালার্জিতে ভোগায় বলে শীতকালে এগুলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। হাত ধোয়ার প্রবণতা বজায় রাখুন: আপনার নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে ভালো। কিন্তু না থাকলে বাইরে থেকে ঘরে আসামাত্র হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ অভ্যাসে কোল্ড ও ফ্লুর ভাইরাস দূর হয়ে যায়। এসব ভাইরাস অ্যাজমা ও অ্যালার্জির উপসর্গকে আরও খারাপ করে। নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি, যা আপনাকে বিভিন্ন মারাত্মক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। ফার্নেস ফিল্টার ব্যবহার করুন: ফার্নেস ফিল্টার ঘরের বাতাসের মান নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। ডিভাইসটি ঘরের ভেতরের অনাকাঙ্ক্ষিত নোংরা বা ধুলো দূর করে এগুলোর রিসার্কুলেটিং প্রতিরোধ করে। ঘরের বাতাস থেকে নোংরা বা ধুলোর পরিমাণ কমলে অ্যালার্জির প্রবণতাও কমে যায়। আপনার ঘরের বাতাস থেকে অ্যালার্জেন দূর করতে এমইআরভি-১১ বা ১২ ফিল্টার বেছে নিন। প্রতি এক থেকে তিন মাসে ফার্নেস ফিল্টার পরিবর্তন করা ভালো। ফায়ারপ্লেস থেকে দূরে থাকুন: শীতকালে ঠাণ্ডা তাড়াতে অনেকে বাইরের উন্মুক্ত স্থানে বিভিন্ন জিনিস বা আবর্জনা একত্রিত করে আগুন জ্বালিয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের ফায়ারপ্লেস অ্যাজমা রোগীদের জন্য ভালো নয়। অগ্নিকূণ্ডের ধোঁয়া অ্যাজমা অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন: ঠিক কী কারণে আপনাকে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার উপসর্গে ভুগতে হচ্ছে জানতে অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। টেস্টের মাধ্যমে চিকিৎসক ভোগান্তির প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে পারেন এবং এ সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন।

Sunday, 8 December 2019

ঘুমের জন্য ভাল খাবার, মন্দ খাবার (Foods for Best Sleeping)

রাতে ঘুমাতে না পারলে বিরক্তির শেষ থাকে না। বয়স্কদের এই অভিজ্ঞতা হয় প্রায়ই। ঘুম ভাল না হলে স্মৃতিশক্তি সমস্যা, বদ মেজাজ, পতন আর দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। ঘুমের আগে কিছু খাবার খেলে ঘুম হরণ করে, আবার কিছু খাবার আনে নিটোল ঘুম। জেনে নিন ঘুমের জন্য ভাল খাবার মন্দ খাবার: চেরি: ঘুমের আগে চেরি খাওয়া ভালো। কারণ এতে আছে এতে মেলাটোনিন যা ঘুম আনে। ব্যাকন চিজ বার্গার-কফি: ফাস্ট ফুড বার্গার বেজায় খারাপ। কফিও ঘুমের আগে খুব বাজে। কারণ এতে আছে ক্যাফেইন। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত করে নির্ঘুম রাত কাটাবার ব্যবস্থা করে। দুধ: ঘুমের জন্য দুধ বেশ ভাল। এক গ্লাস গরম দুধে আছে অ্যামাইনো এসিড ট্রিপ্টোফ্যান। চকলেট: বাজে। এতে কেবল ক্যাফেইনই নয়, আছে ক্যালরি আর থিওব্রমিনের মতো সব উদ্দীপক। কলা: ঘুম আনে ভালো। এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম যা পেশিকে করে শিথিল। কলায় আছে শর্করা তাও ঘুম আনে। স্বাস্থ্যকর, আর পটাশিয়াম চাই হৃদস্বাস্থ্য আর কগ্নিটিভ কাজকর্মের জন্য। এনার্জি ড্রিংক-সোডা: এনার্জি ড্রিংক খুব বাজে। আছে ক্যাফেইন। ৮ আউন্স রেড বুল ৮০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। ২০ আউন্সে আছে ৯১ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। এছাড়াও কোমল পানীয়তে আছে আর রাসায়নিক সাইতটরাস আর সোডিয়াম বেঞ্জ ইয়েট, অম্ল ঢেকুর হয়, ঘুমের জন্য ভাল না। টার্কি -মিষ্টি আলু: ঘুমের জন্য টার্কি ভাল। এতে আছে ট্রিপটোফেন নিদ্রা আকর্ষক। আর মিষ্টি আলু তো ঘুমের মাসি। এতে আছে পটাশিয়াম। তেল মশলা তরকারি-মুরগি: তেল মশলা তরকারি বেজায় খারাপ। বুক জ্বালা হবে। মুরগি রাতে খাওয়া ঠিক না । ঘুম ভাল হয় না।

ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে টমেটো (Cancer, Heart & Diabetes cure of Tomato)

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিটি কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। দেখতে সুন্দর, স্বাদও চমৎকার। অনেকের প্রিয় সবজিও এটি। এখন দেখে নেওয়া যাক এটি আমাদের শরীরে কি ধরণের প্রভাব ফেলে। ১. সাধারণত ভিটামিন-সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। স্কার্ভি হলে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, হাড়গুলোর ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়, রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়, চেহারা ফ্যাকাসে দেখায়, ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হয়। আর এই স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ টমেটো খুবই কার্যকর। ২. টমেটো ত্বকের জন্য বিশেষ আর্শিবাদ। ত্বক মসৃণ এবং সুন্দর রাখতে টমেটো বিশেষ কার্যকরী। তাই রূপ চর্চায় যুগযুগ ধরে টমেটো ব্যবহার হয়ে আসছে। ৩. মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে টমেটো। স্লিম থাকার আদম্য ইচ্চা পূরণ হবে, অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত টমেটো খেলে। ৪. আগেই বলা হয়েছে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা চোখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। ৫. টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন-কে হাড় এবং মাড়ি মজবুত করে। ৬. টমেটো রক্ত পরিষ্কার রাখে। ফলে নিয়মিত টমেটো খেলে রক্তের দূষিত উপাদান চলে যায়। ৭. টমেটোয় বিদ্যমান নিকোটিনিক এসিড রক্তের কোলেস্টেরল কমায়; কাজেই হৃদরোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক। ৮. টমেটোর রং লাল হওয়ায় এতে লাইকোপিন নামক এক ধরনের শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া, লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যেমন: পাকস্থলি, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, গ্রাসনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে টমেটো। আরও বিশেষভাবে জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৯. ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, বদহজম এবং জন্ডিসের জন্যও টমেটো উপকারী। তাহলে আর দেরি না সবজিটি আপনার খাবার তালিকায় রাখুন নিয়মিত। আর নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে রাখুন সুস্থ ও সবল।

শীতকালে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে ( How to Control of allergies & Cold of Winter Season)

শীতকালে অ্যাজমা ও আলার্জি রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, অন্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে এসব রোগীদের বেশি ভুগতে হয়। দ্য আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি (এসিএএআই) শীতে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। ফ্লুর টিকা নিন: অ্যাজমা থাকলে আপনার জন্য এ পরামর্শটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হচ্ছে, অ্যাজমা ও ফ্লু উভয়েই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। অ্যাজমা রোগীদের ফ্লু হলে তারা ঘনঘন তীব্র অ্যাজমা অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন, এমনকি জীবননাশক জটিলতাও তৈরি হতে পারে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন: এটা ঠিক যে শীতকালে বাইরের চেয়ে ঘরের অ্যালার্জেন দ্বারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ কারণে আপনার অথবা পরিবারের কোনো সদস্যের অ্যালার্জি থাকলে প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। ডাস্ট মাইটের (ধুলোর কীট) মতো অ্যালার্জেন দূর করতে নিয়মিত ম্যাট্রেস ও বিছানা পরিষ্কার করতে হবে। ঘরের বেসমেন্ট ও বাথরুমের স্যাঁতসেতে জায়গায় ছত্রাকের বিস্তার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পোষা প্রাণীর শরীর থেকে খসে পড়া আঁইশ, লালা ও মূত্রের একটি প্রোটিন অ্যালার্জিতে ভোগায় বলে শীতকালে এগুলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ফায়ারপ্লেস থেকে দূরে থাকুন: শীতকালে ঠান্ডা তাড়াতে অনেকে বাইরের উন্মুক্ত স্থানে বিভিন্ন জিনিস বা আবর্জনা একত্রিত করে আগুন জ্বালিয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের ফায়ারপ্লেস অ্যাজমা রোগীদের জন্য ভালো নয়। অগ্নিকূণ্ডের ধোঁয়া অ্যাজমা অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। হাত ধোয়ার প্রবণতা বজায় রাখুন: আপনার নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে ভালো, কিন্তু না থাকলে বাইরে থেকে ঘরে আসামাত্র হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ অভ্যাসে কোল্ড ও ফ্লুর ভাইরাস দূর হয়ে যায়। এসব ভাইরাস অ্যাজমা ও অ্যালার্জির উপসর্গকে আরো খারাপ করে। নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি, যা আপনাকে বিভিন্ন মারাত্মক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। ফার্নেস ফিল্টার ব্যবহার করুন: ফার্নেস ফিল্টার ঘরের বাতাসের মান নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। ডিভাইসটি ঘরের ভেতরের অনাকাঙ্ক্ষিত নোংরা বা ধুলো দূর করে এগুলোর রিসার্কুলেটিং প্রতিরোধ করে। ঘরের বাতাস থেকে নোংরা বা ধুলোর পরিমাণ কমলে অ্যালার্জির প্রবণতাও কমে যায়। আপনার ঘরের বাতাস থেকে অ্যালার্জেন দূর করতে এমইআরভি-১১ বা ১২ ফিল্টার বেছে নিন। প্রতি এক থেকে তিন মাসে ফার্নেস ফিল্টার পরিবর্তন করা ভালো। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন: ঠিক কি কারণে আপনাকে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার উপসর্গে ভুগতে হচ্ছে জানতে অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। টেস্টের মাধ্যমে চিকিৎসক ভোগান্তির প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে পারেন এবং এ সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন।