Tuesday, 19 October 2021

কিডনী ভাল রাখার উপায়ঃ



কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কিডনিকে ভালো রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেটিকে ‘রুল অব এইটস বা আট নিয়ম’ বলা হয়। এটি ঠিকমত পালন করলে কিডনি ভালো রাখা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেপ্রোলোজি বিভাগের ডা. এএসএম তানিম আনোয়ার।


তিনি জানান, ‘রুল অব এইটস বা আট নিয়ম’ অনুযায়ী, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। যাদের প্রেশার আছে, তাদের প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।



নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেটা সাইক্লিং হতে পারে, সুইমিং হতে পারে কিংবা হাঁটাহাঁটি হতে পারে। যাদের ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের তা পরিহার করতে হবে। আর যারা ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খান, তা পরিহার করতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিয়ত স্ক্রিনিং করতে হবে। যদিও আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা নেই। তবুও অন্তত একবার হলেও কিডনিটা ভালো আছে কিনা চেক আপ করতে হবে।



 

ডা. এএসএম তানিম আনোয়ার আরও জানান, আর খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে বলতে চাই, আপনারা ফ্রুটস জাতীয় খাবার কম খাবেন। দেড় লিটারের বেশি পানি খাবেন না। যদি ঘাম বেশি হয়, তখন দুই লিটার পর্যন্ত খেতে পারবেন। ভাতের সাথে কাঁচা লবণ খাবেন না।


তেলচর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন। গরুর মাংস, খাসির মাংস কম খাবেন। খেলেও এক টুকরার বেশি খাবেন না। যেসব মাছ তেল আছে- যেমন ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, শুটকি মাছ, পাঙ্গাস মাছ ইত্যাদি কম খাবেন।


আর যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা মিষ্টি জাতীয় খাবার একদম খাবেন না। ডালের ওপরের পাতলা পানিটা খেতে পারবেন, ঘন ডাল কম খাবেন। যাদের ক্রিয়েটিনিন ২ এর ওপরে তাদেরকে রমজানের রোজা রাখতে মানা করি। রাখলেও ছোলা-বুট, পিঁয়াজু-বেগুনি, হালিম ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।শাক-সবজির মধ্যে পুঁই শাক ও পালং শাক খেতে না করি। বিচি জাতীয় সবজি যেমন- শিম, ঢেড়শ, পটল না খাওয়াই ভালো এবং ফুলকপি, বাধাকপি কম খাবেন।


এ ছাড়া যেকোনো ধরনের ফল আর ফলের রস কম খাবেন। বেশি খেতে চাইলে আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা বিচি ফেলে খেতে পারবেন। তিনটা ফল আমরা একদম নিষেধ করি। সেগুলো হলো- কামরাঙা, বেলম্বু, এলোবেরা একদমই নিষেধ। ডিম-দুধ খেতে পারবেন। প্রেশার বেশি থাকলে ডিমের কসুমটা বাদ দিয়ে খাবেন। ক্যালসিয়াম কম হলে দুধ খাবেন। তবে সেক্ষেত্রে যদি আধা গ্লাস দুধ খান তাহলে আধা গ্লাস পানি কম খেতে হবে।


Monday, 18 October 2021

 কচু শাকের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেনিন অবশ্যই



সুস্থ থাকার জন্য চিকিত্‍সকরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি একটি উপকারী শাক হচ্ছে কচু শাক। কচু শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাইতো এর চাহিদাও অনেক। কচু শাকের পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এর চাহিদা ব্যপক। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে কচু শাক খুবই জনপ্রিয়।

কচু শাক নানা ভাবে খাওয়া হয়। তবে কচুপাতা ভর্তা ও তরকারিতে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাকের তরকারি খুবই জনপ্রিয়।


কচুশাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই শাকে ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি-ও। এছাড়া কচুশাক আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি। এইশাক ভিটামিন এ-এর খুব ভালো উত্‍স, রাতাকানা রোগসহ ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচু শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কচু শাকই দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে।


কচুশাকের পুষ্টিগুণ


কচুশাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমূহ। নিচে কচু শাকের পুষ্টি উপাদান আলোচনা করা হলো-


প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে থাকে, শর্করা-৬.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ৩.৯ গ্রাম, লৌহ-১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)-০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন)-০.২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন 'সি'-১২ মিলিগ্রাম, স্নেহ বা চর্বি-১.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২২৭ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি-৫৬ কিলোক্যালরি।


কচু শাকের উপকারিতা


>> এই শাকের সব চেয়ে বড় উপকারিতা হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস। আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে কচু শাকের তুলনা হয়না। তাছাড়া ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কচু শাক খেলে দাঁত ও হাড় ভালো থাকবে।


>> কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে। এই আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতা ভোগা থেকে রক্ষা করে। তাই রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া অবশ্যই দরকার।


>> কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা খাবারকে অতি সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যেসব রোগীদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। এতে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।


>> কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে এর লৌহ উপাদান আপনার দেহে সহজে আত্তীকরণ হয়ে যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচু শাক খাওয়ানো প্রত্যেকের উচিত।


>> কচু শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। এটি আমাদের রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রাত কানা রোগ সারাতে কচু শাকের তুলনা হয় না।


>> কচু শাক খেলে রক্তের কোলেস্টরেল কমে তাই উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের জন্য কচু শাক এবং কচু বেশ উপকারী। নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও দিন দিন কমে।


>> কচু শাকে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবর্তী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারী। কচু শাক আমাদের কাছে সহজ লভ্য তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী নারীরা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু বা কচু শাক খেতে পারেন।


>> আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই শাকের আয়রন ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।


কচু শাকের অপকারিতা


>> কচু শাকের অপকারিতা সামান্য পরিমানে রয়েছে। কচু শাক বা কচু খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। কারণ এতে অক্সলেট নামক উপাদান রয়েছে। এই জন্য কচু রান্না করার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করা উচিত।


>> তবে যাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা বেশি আছে তাদের কচু বা কচু শাক না খাওয়াই ভালো।


>> কচুশাকের অপকারিতা এর মধ্যে আর একটি অন্যতম গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

Tuesday, 12 October 2021

 


একাধিক গবেষণার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন, আজকের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে শরীর বাঁচাতে বেদানার রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে বেদানার ভিতরে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ শক্তিশালী উপাদান দেহে প্রবেশ করা মাত্র প্রতিটি কোষ, শিরা এবং উপ-শিরাকে, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে ছোট বা বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। 


তবে এখানেই শেষ নয়, প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলের রসকে জায়গা করে দিলে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। চলুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-


অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য- 

বেদানার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দূষিত ও তামাক জাতীয় জিনিস থেকে পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ থেকে কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ ও ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে। হার্ভার্ড রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গবেষণায় দেখা গেছে যে বেদানার রস ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।


রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে-


প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে বেদানা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ফলে স্ট্রেস এবং টেনশন কমে, হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত বেদানা খাওয়ার অভ্যাস করুন উপকার পাবেন।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-


বেদানার  ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণ আছে। শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বেদানার রস।


হজমশক্তি বাড়ায়-


বেদানায় দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।


হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়-


বেদানা দেহের ক্ষতিকর কোলস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়। এতে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।


স্মৃতিশক্তি বাড়ায়-


বেদানা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। আর এ কারণে এটি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের জন্যও উপকারি।


রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়-


আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। এতে অ্যানেমিয়া ও রক্তের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।


ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী-


বেদানা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। এটি মিষ্টি হলেও সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের কোনও সমস্যা হয় না। বেদানার রসে ফ্রুক্টোজ থাকলেও এটি অন্য ফলের রসের মতো রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না।


ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে-


বেদানা ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক আসিড ও ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।


ব্যথা দূর করতে ডালিম-


বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।

 <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-7758039334307892"

     crossorigin="anonymous"></script>

তিলের লাড্ডু

 





তিলের লাড্ডু


তিলের লাড্ডু তৈরি করতে প্রয়োজন হবে

তিল- ২৫০ গ্রাম, গুড়-২৫০ গ্রাম, ঘি- ১ কাপ।  


প্রণালী

তিল টেলে(তেল ছাড়া ভাজা) নিয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।

এবার চুলায় একটি পাত্রে গুড় জ্বাল দিন। গুড় গলে গেলে তিল দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড়ের সঙ্গে তিল মিলে শক্ত হয়ে এলে নামিয়ে নিন। একটি পাত্রে তিলের মিশ্রণ ঢেলে গরম থাকতেই ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

পছন্দ মতো আকারে লাড্ডু তৈরি করুন।

আপনারা চাইলে সব ধরনের লাড্ডুতে পছন্দ মতো লবণ দিতে পারেন।