Monday, 19 October 2020

যেভাবে রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা যাবে (Bacteria Cure)

 আজ থেকে ১৫০০ বছর ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ম্যাজিকের মত কাজ করে। জেনে নিনযেভাবে প্রতিদিন রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।





প্রথমেই বলতে হয় হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপের কথা। দেখা যাচ্ছে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রেখে, হৃদযন্ত্রের গতিবিধি ঠিক রাখে। বিপাকহার ঠিক রাখা, কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণেও রসুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।



অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে রসুনের জুড়ি নেই। কাজেই নিয়মিত রসুন খাওয়া মানে রোগ জীবাণুকে দূরে রাখা।



চিকিৎসকরা বলছেন সবচেয়ে ভালো নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়া। স্যালাডে বা দইয়ে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। সকালেই খেতে হবে এর কোনও মানে নেই, দিনের যে কোনও সময় খেতে পারেন। পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য দু কোয়া রসুনই যথেষ্ট।



Sunday, 4 October 2020

ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে রসুন (The benefits of garlic)

 



মসলাজাতীয় খাদ্য উপাদান রসুনের প্রাকৃতিক গুণের কথা কমবেশি আমাদের সবারই জানা। রসুন যে মানব স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি তা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এতে রয়েছে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। এগুলোর বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত ফ্লু প্রতিরোধে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: 
রসুনে থাকা উপাদান জীবাণু প্রতিরোধ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনে থাকা সালফার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সঙ্গে ভাইরাসের সংযোগ ঘটতে দেয় না। এর ফলে সর্দি এবং ফ্লু সহজে আক্রান্ত করতে পারে না।

ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে: 
গবেষণায় দেখা গেছে- রসুন কেবল অসুখই প্রতিরোধ করে না, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গও কমায়। অনেকেই প্রায়ই সর্দি এবং ফ্লু আক্রান্ত হন। নিয়মিত রসুন খেলে এই অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

প্রতিদিন রসুন খাওয়া: 
অন্তত দু-এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। 

অন্যান্য উপকারিতা: 
রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: 
রসুনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহপূর্ণ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় রসুন খেলে শরীর গরম হয় এবং ত্বকে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে।

সতর্কতা: 
অ্যাজমা রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। সার্জারি এবং অপারেশনের আগে রোগীর রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

দৈনিক ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটাবে মাত্র দুটো আমলকি (Best Source of Vitamin C )

 



আমলকি একটি পরিচিত ফল। এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।
এছাড়াও এর রয়েছে আরও অনেক ঔষধি গুণ-

আমলকি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।

দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।

হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।

দাঁত, চুল ও ত্বক ভালো রাখে আমলকি।

খাওয়ার রুচি বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল, রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।

বহুমূত্র রোগে এটি উপকারী।

চুল ওঠা দূর করতে আমলকি বেশ উপকারী। চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে।

আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়, আমলকি ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

প্রতিদিন সকালে আমলকির জুস খাওয়া পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।

আমলকি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকি খুব দ্রুত কাজ করে। আমলকির গুঁড়ো মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।